On This Page

ব্যঞ্জনলোপ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - বাংলা - বাংলা ২য় পত্র | NCTB BOOK

ব্যঞ্জনলোপ– উচ্চারণকালে শব্দের শুরুতে, মাঝে বা শেষে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে ধ্বনি পরিবর্তনের এই নিয়মকে বলা হয় ব্যঞ্জনলোপ। আদি-ব্যঞ্জনলোপ- শব্দের আদিতে থাকা ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি-ব্যঞ্জনলোপ বলা হয়। যেমন- স্ফটিক> ফটিক, স্ফূর্তি> ফুর্তি, স্থান> থান , শ্রাবণ> শাবন (শাওন) ইত্যাদি।

Content added By

Sumaiya Hossen Mim

আদি-ব্যঞ্জনলোপ

আদি ব্যঞ্জনলোপ:

শব্দের আদিতে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি ব্যঞ্জনলোপ বলে। যেমন-স্থান>থান, শ্মশান>মশান, ট্রেন>টেন ইত্যাদি।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

মধ্য-ব্যঞ্জনলোপ

মধ্য ব্যঞ্জনলোপ:

শব্দের মাঝখানে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্য ব্যঞ্জনলোপ বলা হয়।যেমন-শৃগাল>শিআল>শিয়াল, রাধিকা>রাহিআ>রাহি>যাই।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

অন্ত্য-ব্যঞ্জনলোপ

অন্ত্য ব্যঞ্জনলোপ:

শব্দের অন্তে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যব্যঞ্জনলোপ বলে। যেমন-বধূ>বহু>ব‌উ,সখী>স‌ই,আম্র>আম ইত্যাদি।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

‘হ’ ধ্বনি লোপ

হ-কার লোপ :

আধুনিক চলিত ভাষায় অনেক সময় দুই স্বরের মাঝামাঝি হ-কারের লোপ হয়। যেমন—পুরোহিত > পুরুত, গাহিল > গাইল, চাহে > চায়, সাধু > সাহু > সাউ, আরবি আল্লাহ্ > বাংলা আল্লা,ফারসি শাহ্> বাংলা শা ইত্যাদি।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

‘র’ ধ্বনি লোপ

র-কার লোপ :

আধুনিক চলিত বাংলায় অনেক ক্ষেত্রে র-কার লোপ পায় এবং পরবর্তী ব্যঞ্জন দ্বিত্ব হয়। যেমন – তর্ক > তক্ক, করতে > কত্তে, মারল > মাল্ল, করলাম > কল্লাম ।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

সমাক্ষরলোপ

সমাক্ষরলোপ:

কোন শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অথবা কাছাকাছি দুই বা ততোধিক সমধ্বনি থাকলে কখনো কখনো এদের এক বা একাধিক ধ্বনি লোপ পেতে দেখা যায় একে বলা হয় সমাক্ষরলোপ।যেমন-বড়দাদা>বড়দা,মেজদিদি>মেজদি ইত্যাদি।

Content added || updated By

Umme Tabassum Jahan

আরও দেখুন...

ব্যঞ্জনলোপ আদি-ব্যঞ্জনলোপ মধ্য-ব্যঞ্জনলোপ অন্ত্য-ব্যঞ্জনলোপ ‘হ’ ধ্বনি লোপ ‘র’ ধ্বনি লোপ সমাক্ষরলোপ